ফিকে জোছনার রাত। আহনাফ উঠে দাঁড়াল। ধ্রুব আর রিয়ানও উঠে দাঁড়িয়েছে। কোনো শব্দ না করে ধীর পায়ে তারা তিনজন তাঁবুর পেছন দিকে এগিয়ে গেল। দেখল একটা ছায়ামূর্তি তাঁবুর পেছন থেকে দ্রুত হেঁটে বনের গভীরে চলে যাচ্ছে। ছায়ামূর্তি বনের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দ্বীপচর খালের দিকে। শ্রেয়া তার তাঁবু থেকে একই ঘটনা দেখেছে।
ফগনা বন থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাকে দেখে বুন্টা বলল, ‘নৌকা থেকে অস্ত্র নিয়ে আয়। পাহারায় থাকবি। তাদের বাঁধন খুলে দেওয়া হচ্ছে। যদি কেউ পালানোর চেষ্টা করে গুলি করে মেরে ফেলবি। জোয়ারের সময় লাশ ভাসিয়ে দিবি। নদী থেকে লাশ চলে যাবে সমুদ্রে। কুমিরে খাবে নাহয় হাঙরে খাবে।’
ধ্রুব, আহনাফ, রিয়ান আর শ্রেয়া কিছু বলল না। কুয়াশামাখা চাঁদের আলোতে চারজনের চোখে চোখে কথা হলো। তাদের কী করতে হবে সেই সিদ্ধান্ত তারা নিয়ে ফেলেছে।
বানানো গল্প, তবু মনে হয় সবটা যেন সত্য। তীব্র সংকট, বুদ্ধি, সাহস আর উত্তেজনা- এই চারে ঠাসা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার তাঁবুতে তাণ্ডব। সুন্দরবনে পুতনির দ্বীপে উষ্ণ স্বাগতম।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.